পরিমাপের একক ও তার প্রাথমিক ধারণা (Units of Measurement)

👉 পরিমাপ করা যায় এরকম যে কোন বিষয়কেই প্রকৃতিক রাশি বা ভৌত রাশি বলে।

ভৌত রাশি

tree

স্কেলার রাশি

ভেষ্টর রাশি

🔹 স্কেলার রাশি - যে সকল ভৌতরাশির মান আছে কিন্তু অভিমুথ নেই তাদের স্কেলার রাশি বলে।

উদাহরণ - দৈর্ঘ্য, ভর, কার্য ইত্যাদি

⭐ স্কেলার রাশি যোগ-বিয়োগ সাধারণ গাণিতিক নিয়মে করা সম্ভব।

🔹 ভেক্টর রাশি - যে সকল ভৌতরাশির মান ও অভিসুখ দুহ-ই আছে তাদের ভেক্টর রাশি বলে।

উদাহরণ - সরণ, বেগ, বল ইত্যাদি

⭐ ভেক্টর রাশির যোগ-বিরোগ সাধারণ গাণিতিক নিয়মে করা সম্ভব নয়।

⭐ দুটি ভেক্টর রাশির গুনফল একটি স্কেলার রাশি হয়।

👉 কোন রাশির একক বলতে ঐ রাশির একটি সুনির্দিষ্ট ও সুবিধাজনক পরিমান কে বোঝায়।

🔹 এককের সংখ্যামান - কোন রাশির মান ওর এককের সাথে তুলনা করে নির্নয় করা হয়। রশিটি ওর এককের যতগুন বড় বা ছোট সেই সংখ্যা কে ওই রাশির সংখ্যামান।

🔹 কোন রাশির পরিমাপ = রাশিটির সংখ্যামান × রাশিটির একক

🔹 এককের প্রমাণমান - এককের প্রমাণমান হল এককের মূর্তরূপ, এটি এককের মান কে রক্ষাকরে বা নির্দিষ্ট করে।

🔹 একক বিহীনরাশি - যে সকল ভৌতরাশি বা প্রাকৃতিক রাশি দুটি একই রকম রাশির অনুপাত হয় তাদের কোন একক থাকে না। তদের একক বিহীন রাশি।

উদাহরণ - পারমানবিক গুরুত্ব ইত্যাদি

একক

tree

প্রাথমিক একক

লব্ধএকক

👉 মূল একক বা প্রাথমিক একক :

যে রাশিগুলির একক থেকে অন্যান্য সকল রাশির একক গঠন করা যায়, তাদের মূল একক বা প্রাথমিক একক বলে

যেমন - দৈর্ঘ্য (L), ভর (M), সময় (T)

এ ছাড়াও আরো কতগুলি প্রাথমিক একক হয় সেগুলি হলো তাপমাত্রা, তড়িৎ প্রবাহ, দীপন ক্ষমতা, পদার্থের পরিমাণ ইত্যাদি, এগুলি সম্পর্কে পরবর্তী অধ্যায়ে বিস্তারিত জানবে।

এককের পদ্ধতি

tree

C.G.S. পদ্ধতি

SI পদ্ধতি

এককC.G.S. পদ্ধতিSI পদ্ধতি
দৈর্ঘ্যসে.মি. (cm)মিটার (m)
ভরগ্রাম (gm)কিলগ্রাম (kg)
সময়সেকেন্ড (sec)সেকেন্ড (sec)

👉 লব্ধএকক :

এক বা একাধিক প্রাথমিক একক দ্বারা সৃষ্টি এককে লব্ধ একক বলে।

যেমন - ক্ষেত্রফল, বেগ, ত্বরণ ইত্যাদি

ক্ষেত্রফল : দ্বিমাত্রিক তলে অবস্থিত বন্ধ ক্ষেত্রকে ক্ষেত্রফল বলে।

🔹 আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রে

∵ ক্ষেত্রফল =দৈর্ঘ্য × প্রস্থ
∴ ক্ষেত্রফল = (দৈর্ঘ্যের একক) × (দৈর্ঘ্যের একক)
=(দৈর্ঘ্যের একক)²

🔹 ক্ষেত্রফলের একক -

⭐ C.G.S. পদ্ধতি - cm² বা বর্গ সে. মি.

⭐ SI পদ্ধতি - m² বা বর্গ মি.

🔹 ক্ষেত্রফল স্কেলার রাশি লব্ধএকক

আয়তন : ত্রিমাত্রিক দেশে কোন বস্তু যতটা স্থান দক্ষল করে থাকে তকে তার আয়তন বলে।

🔹 আয়তঘনের ক্ষেত্রে

∵ আয়তন =দৈর্ঘ্য × প্রস্থ × উচ্চতা
∴ আয়তন = (দৈর্ঘ্য) × (দৈর্ঘ্য) × (দৈর্ঘ্য)
=(দৈর্ঘ্যের একক)³

🔹 আয়তঘনের একক -

⭐ C.G.S. পদ্ধতি - cm³ বা ঘন সে. মি.

⭐ SI পদ্ধতি - m³ বা ঘন মি.

🔹 আয়তন স্কেলার রাশি লব্ধএকক।

ঘনত্ব : কোন পদার্থের একক আয়তনের ভরকে ঐ পদার্থের ঘনত্ব বলে।

🔹 ঘনত্বের একক -

⭐ C.G.S. পদ্ধতি - gm/cm³ বা গ্রাম প্রতি ঘন সে. মি.

⭐ SI পদ্ধতি - kg/m³ বা কে. জি. প্রতি ঘন মি.

🔹 ঘনত্ব স্কেলার রাশি লব্ধএকক।