তড়িতের প্রাথমিক ধারণা (Basic Concepts of Light)

পরমাণুর তিনটি মূল উপাদান কণিকা - ইলেকট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন

এদের মধ্যে ইলেকট্রনের বিশেষ ধর্মকে আমরা ঋণাত্মক আধান (e-); এবং প্রোটনের বিশেষ ধর্মকে আমরা ধনাত্মক আধান (p+) বলে থাকি।

কোন পরমাণুর প্রোটন ও ইলেকট্রন সংখ্যা সমান হলে পরমাণু নিস্তরিত হয়।

কোন একটি নির্দিষ্ট পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা সর্বদা নির্দিষ্ট এবং স্থির, কিন্তু পরমাণুর তার ইলেকট্রন গ্রহণ বা বর্জন করে ইলেকট্রনের সংখ্যা হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটতে পারে। এর ফলে পরমানুটি তড়িৎগ্রস্থ কণায় পরিণত হয়।

⭐ কোন পরমাণু মধ্যে ইলেকট্রনের পরিমাণ তার প্রোটনের থেকে অধিক হলে পরমাণুটি ঋণাত্মক তড়িৎযুক্ত বলে ধরা হয় বা ঋণাত্মক আয়নও বলে

⭐ কোন পরমাণু মধ্যে ইলেকট্রনের পরিমাণ প্রোটনের থেকে কম হলে সেটি ধনাত্মক তড়িৎযুক্ত বলে ধরা হয় বা একে ধনাত্মক আয়ন আয়নও বলে

যদিও তড়িতের এই অধ্যায় আমরা ধাতুর মধ্যে প্রাপ্ত অতিরিক্ত এবং মুক্ত ইলেকট্রনের (e-) উপর ভিত্তি করেই আলোচনা করব।

যার মধ্যে দিয়ে তড়িতের প্রবাহ হয় তাকে তড়িৎ-পরিবাহী বলে। এক্ষেত্রে আমাদের জানতে হবে যে, পরিবাহীতে তড়িৎপ্রবাহের এর ফলে ওই তড়িৎ-পরিবাহী পদার্থের কোনো রকম রাসায়নিক পরিবর্তন হয় নাঅতিরিক্ত নিরবিচ্ছিন্ন মুক্ত ইলেক্ট্রনের জন্যেই তড়িৎ পরিবাহিত হয়। এই বিষয়ে পরবর্তীকালে আমরা আরো আলোচনা করব।

👉 তড়িৎ কী?

তড়িৎ হল এক ধরনের শক্তি যা তড়িৎগ্রস্ত কণা তথা তড়িৎ আধানের উপস্থিতিতে উপলব্ধ হয়।

আধান বা চার্জ হল তড়িৎশক্তির ধারক, বাহক এবং পরিচায়ক।

তড়িদাধান দুই প্রকার

tree

ধনাত্মক আধান (+)

ঋণাত্মক আধান (-)

সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম আধান হল একটি ইলেকট্রনের (e-) চার্জ ()। বাকি যে-কোনো আধান অবশ্যই এর সরল গুণিতক।

দুই প্রকার বিপরীত আধানের মধ্যে সর্বদাই আকর্ষণ এবং সমআধানের মধ্যে বিকর্ষণ বল লক্ষ করা যায়। তাই তড়িৎকে শক্তি হিসাবে গণ্য করা হয়

আধান কোনো বস্তুর মধ্যে আবদ্ধ থাকবে অথবা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলাচল করবে। এর উপর ভিত্তি করে তড়িৎ দুই প্রকার।

তড়িৎ দুই প্রকার

tree

স্থির তড়িৎ

চলতড়িৎ